জেলা তথ্য অফিস, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারের একটি প্রচারমূলক প্রতিষ্ঠান। বৃটিশ ভারতে ১৯২৪ সালে তৎকালীন তথ্য বিভাগের আওতায় পাবলিসিটি ডিপার্টমেন্ট নামে কোলকাতাস্থ রাইটার্স বিল্ডিং এ এই বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফিল্ড পাবলিসিটি, নিউজ, ফিল্ম প্রভৃতি শাখাসমূহ নিয়ে পাবলিক রিলেশন্স ডাইরেক্টরেট গঠিত হয়।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের তৃণমূল পর্যায়ে গরীব ও নিরক্ষর জনগণকে শিক্ষিত করার মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ ও সম্পৃক্তকরণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে ১৯৭২ সালে তৎকালীন পাকিস্তান আমলের ফিল্ড পাবলিসিটি (মাঠ প্রচার), বাংলাদেশ পরিষদ, জাতীয় পূণর্গঠন সংস্থা (বিএনআর) এবং মহিলা শাখাকে একত্রিত করে ১৯৭২ সালে ২ অক্টোবর গণযোগাযোগ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
গণযোগাযোগ অধিদপ্তরকে পূণর্গঠিত করায় স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের মাঝে সেতুবন্ধ রচনার দায়িত্ব এ অধিদপ্তরের উপর বর্তায়। জেলা তথ্য অফিসসমূহের মাধ্যমে তখন সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও উন্নয়ন কর্মসূচির সাথে জনগণকে সম্পৃক্তকরেণের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে স্থানীয় বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদদের ইস্যুভিত্তিক বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ জানানো হতো। এর ফলে সরকারের সাথে জনগণের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে তৎকালীন সরকার বাংলাদেশ পরিষদ, জেলা তথ্য কেন্দ্র ও পাবলিক লাইব্রেরিকে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর থেকে পৃথক করে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে। ১৯৮৩ সালে এনাম কমিটি কর্তৃক গণযোগাযোগ অধিদপ্তরকে পূণর্বিন্যাস করা হয়। পরবর্তীতে সাবেক মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করার প্রেক্ষিতে মহকুমা জনসংযোগ অফিসসমূহ জেলা তথ্য অফিসে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে ৬৪ টি জেলা তথ্য অফিস ও পার্বত্য অঞ্চলের ৪ টি উপজেলাসহ মোট ৬৮ টি তথ্য অফিসের মাধ্যমে সরকারের প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS